আজ মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাঠকশূন্য ভোলার গণগ্রন্থাগার

পাঠকশূন্য ভোলার গণগ্রন্থাগার

পাঠকশূন্য ভোলার গণগ্রন্থাগারপাঠকশূন্য ভোলার গণগ্রন্থাগার

জুবায়ের চৌধুরী পার্থ, ভোলা থেকে: ভোলার গণগ্রন্থাগারটি পাঠকদের পদচারনায় মুখরিত থাকার কথা থাকলেও এখন প্রায় পাঠকশূন্য ভোলার গনগ্রন্থাগারটি। তাকে তাকে বই সাজানো থাকলেও নেই কোন পাঠক, বই গুলো পাঠকের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয় ভোলা শহরের এই গনগ্রন্থাগারটি। শহরের টাউন স্কুল ক্যাম্পাসে যখন ছিল গনগ্রন্থাগারটি তখন বিভিন্ন বয়সের লোক সহ স্কুল কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাতেন বই পড়ার জন্য। কিন্তু ২০১০ সালে আধুনিক ভবন নির্মান করে গনগ্রন্থাগারটি স্থান্তার করা হয় ভোলা জেলা পুলিশ লাইন সংলগ্ন চরনোয়াবাদ এলাকায়।

২৪ হাজার ২২টি তাকে সারি সারি ভর্তি বই সাজানো আছে গ্রন্থাগারটিতে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, বাংলা, ইংরেজি অবিধান সহ জ্ঞান সমৃদ্ধ মহামুল্যবান বই রয়েছে এখানে। অশংখ্য চেয়ার-টেবিল সহ খাকছে ১০-১১টি দৈনিক প্রত্রিকা।

শুধুমাত্র শহরের কাছ থেকে দুরে হওয়ায় পাঠকশুন্য থাকতে হচ্ছে এই গ্রন্থগারটি। ধরকার ছাড়া আসে না কেহই। সপ্তাহে ৫দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকলে দেখা মিলে না কোন পাঠকের। গ্রন্থাগারটিতে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও সেখানে রয়েছে একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও নাইটগার্ড। প্রতিদিন তারা সময় মত গ্রন্থাগারে উপস্থিত খাকলেও যাদের জন্য এই গ্রন্তাগারটি তাদের দেখা মিলছেনা সারা বছরেও।

শুধু একটি মাত্র সমস্যা গ্রন্থাগারটি শহর থেকে দুরে। যদি এটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে হতো তাহলে সব সময় জমজমাট থাকতো বলে মনে করেন অনেকে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ